সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদের মনের দরজা খুলে দিতে হবে। বাবা-মায়ের পেশা সম্পর্কে সন্তানদের উপলব্ধি কি ও তারা কিভাবে পরিবারকে মূল্যায়ন করে, তা তাদেরকে জানানো অত্যন্ত জরুরি।’
পুলিশ পরিবারের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সন্তানদের নিয়ে ‘এসো শিখি ও মনের কথা বলি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ সভার আয়োজন করে পুনাক।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পুনাকের প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নাসিম আমিন। তিনি বলেন, শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে বাবা-মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের মানসিক বিকাশে বাবা-মায়ের সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভার প্রথম পর্বে শিশু-কিশোরদের মাঝে সাইবার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজা লিজা। তিনি শিশু-কিশোররা কিভাবে নিজেদের অজান্তে সাইবার স্পেস ঝুঁকিতে পড়ে, এসব ঝুঁকি এড়াতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বিধানে কি করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
পুলিশ পরিবারের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সন্তানদের নিয়ে ‘এসো শিখি ও মনের কথা বলি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভাপুলিশ পরিবারের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সন্তানদের নিয়ে ‘এসো শিখি ও মনের কথা বলি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভাদ্বিতীয় পর্ব পুলিশ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে পুনাক সভানেত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাইমা নিগার শিশু-কিশোরদের পরিবারে, স্কুলে ও বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন মনস্তাত্বিক অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
সভায় পুনাকের বিভিন্ন স্তরের সদস্যা এবং পুলিশ পরিবারের ৫৯ জন সন্তান অংশ নেন।
বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) পুলিশ পরিবারের নারী সদস্যদের ক্ষমতায়ন ও তাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশ ও মেধার উন্নয়নে গত তিন দশক ধরে কাজ করে আসছে।
