রাজশাহী-
রাজশাহীর বাঘা উপেজলার পদ্মার চের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
বাঘা উপজেলায় বৃহস্পতিবার পদ্মার চরে শীতের সকালে পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত বেশ কিছু নারী-পুরুষ। কেউ পেঁয়াজ ওঠাচ্ছে, আবার কেউ ছাঁটাই-বাছাই করছে। গেল বছরের বন্যার পানি নামতে দেরি হওয়ায় দেরিতে রোপণ করতে হয় পেঁয়াজ। এ বছরে বন্যার পানি আগে নেমে যাওয়ায় আগাম রোপন করা হয়েছ। মৌসুমের শুরুতেই তুলতে পারায় ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে। আগাম পেঁয়াজ চাষিরা ভালো ফলন ও বেশি দাম পাচ্ছেন। চরাঞ্চলের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে পেঁয়াজ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি বাবলু দেওয়ান ও আকছেদ আলী জানান, এ বছরে বন্যার পানি আগে নেমে যাওয়ায় পেঁয়াজ আগে রোপণ করা গেছে তাই আগেই তোলা যাচ্ছে। এছাড়া ফলন ভালো ও ভালো দাম পাওয়ায় যাচ্ছে। ভারত থেকে কোনো এলসি না আসায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজার সন্তোষজনক রয়েছে।
চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজার মূল্য পেয়েছিলেন ৩৫-৪০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু এবার জমি থেকে ৪২ টাকা প্রতি কেজি দরে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, এ বছর উপজেলায় সর্বত্রই কম-বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় পদ্মার চরে। পেঁয়াজ চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়।