কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাদক কারবারি ও বিজিবির মধ্যে গোলাগুলির পর অভিযান চালিয়ে কাঠের নৌকাসহ ৫ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১টি দেশীয় অস্ত্র, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিষয়টি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এক সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির জওয়ানেরা মিয়ানমার হতে বড় ধরনের মাদকের চালান আসার সংবাদ পান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে নাফনদীতে স্পীড বোটে ও কাঠের বোট নিয়ে এবং স্থলভাগে কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর নাইট ডিভাইস দ্বারা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় নাফনদীর মধ্যবর্তী লালদ্বীপ হতে একটি কাঠের নৌকা নিয়ে ৩-৪ জন দুষ্কৃতকারী জাদিমোরা উমরখাল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে চাচ্ছে।
এমন সময় বিজিবি চারদিক থেকে ঘেরাও করে অভিযান চালায়। তখন দুষ্কৃতকারীরা নিরুপায় হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বিজিবিও পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। পরে মাদক কারবারিরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নদীতে লাফ দেয়। তখন তাদের ব্যবহৃত কাঠের নৌকাটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তল্লাশী করে ৫টি বস্তায় ৫লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান ও মাদক বহনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এই সীমান্তকে মাদক ও চোরাচালানমুক্ত করতে বিজিবি জওয়ানেরা আরও কঠোর এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।