ফারাহর বাবা ড. মাতলুব আহমেদ ও মা ড. ফেরদৌস আহমেদ দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার জন্ম ও পড়াশোনা যুক্তরাষ্ট্রে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিকের পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান ফারাহ আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী উন্নয়ন সচিবালয়ের আন্ডার সেক্রেটারির চিফ অফ স্টাফ হিসেবে গত ২১ জানুয়ারি তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।
ফারাহ সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের ভাগনি এবং বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল বাতেন খানের নাতনি।
তার বাবা ড. মাতলুব আহমেদ ও মা ড. ফেরদৌস আহমেদ দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ফারাহর জন্মও যুক্তরাষ্ট্রে। পড়াশোনাও সেখানে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কারনেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং নিউজার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন ফারাহ। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়েও কাজ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কনজ্যুমার এডুকেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবং কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন ব্যুরোর চিফ অপারেটিং অফিসারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গ্রাহক শিক্ষা অফিসে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবং ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোর চিফ অপারেটিং অফিসে সিনিয়র উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছেন ফারাহ।
ফারাহ আহমেদের নানার বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামে। তার নানা প্রয়াত ড. আবদুল বাতেন খান পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নানী প্রয়াত মুনিরা খান ছিলেন ভিকারুননিসা স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাবেক সহসভানেত্রী।
ফারাহর মামা মাসুদ খান জানান, ফারাহর বাবা-মা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করছেন। পড়াশোনার সুবাদেই তারা দেশটিতে পাড়ি জমান।
📝 নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন