নরসিংদী সদর উপজেলায় মো. আবদুল্লাহ (২৩) নামের এক রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই রাজমিস্ত্রিকে আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার একটি বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় শিশুটি রোদে শুকাতে দেওয়া কাপড় ঘরে আনার জন্য ছাদে গিয়েছিল। কাপড় নিয়ে ঘরে ফেরার সময় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
মো. আবদুল্লাহ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার টালবন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নরসিংদীর শিবপুরের সৈয়দপুরে ভাড়া বাসায় থেকে একটি টাইলস ফিটিংয়ের দলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন জানান, কিছুদিন ধরে সদর উপজেলার চিনিশপুর গ্যাসফিল্ডসংলগ্ন একটি চারতলা ভবনের সিঁড়িতে টাইলস ফিটিংয়ের কাজ চলছিল। টাইলস ফিটিংয়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন মো. আবদুল্লাহ। শনিবার দুপুরে ওই শিশুকে আবদুল্লাহ চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন আবদুল্লাহ।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার পর ঘরে ফিরে শিশুটি ব্যথায় কান্নাকাটি শুরু করে এবং তার মাকে পুরো বিষয়টি জানায়। পরে তার মা ঘটনাটি বাবা ও বাড়ির মালিককে জানান। গতকাল সকালে আবদুল্লাহ ও আরও দুজন ওই বাড়িতে টাইলস ফিটিংয়ের কাজে আবার আসেন। পরে তাঁদের সবাইকে এক জায়গায় একত্র করে ‘কে তোমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে’ জানতে চাওয়া হয় শিশুটির কাছে। ওই সময় শিশুটি আবদুল্লাহকে চিহ্নিত করলে উপস্থিত সবাই মিলে আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে রাজমিস্ত্রি আবদুল্লাহকে আসামি করে শিশুটির বাবা মামলা করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া নরসিংদী সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।