মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা’প্রকল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) মধ্যে ই-কমার্স বিষয়ে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ সমাঝোতার মাধ্যমে একটি ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস তৈরি করা হবে। যেখানে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের উৎপাদিত ও সংগৃহীত পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মীনা পারভীন এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পক্ষে ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নতুন সে ধরনের আরো একটি দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্সের ব্যাপ্তি আরো বেড়েছে। কিন্তু ই-কমার্সের মাধ্যমে অনেক বড়-বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে।
গ্রামীণ মহিলাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্যে একটি অন্যতম শর্ত হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। নারীরা যদি এভাবে স্বাবলম্বী হয়, একটা সময় আর সংকট থাকবে না।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, এই প্রকল্পের শুরুতে যারা ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠির নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, যুগ্মসচিব এ কে এম শামীম আক্তার এবং যুগ্মসচিব অধিশাখা নার্গিস খানম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক ওবায়দুল আজম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুর রহিম খান।