নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতারকৃতরা ‘এই শতাব্দী ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী’ নামে টেলিগ্রাম গ্রুপ পরিচালনা করতো। এটিইউ কর্মকর্তারা জানান, তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং নাশকতার জন্য পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিকিউরড গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে চ্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া তারা ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করছিল বলে তাদের গ্রুপ চ্যাটিং থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. হিজবুল্লাহ মিয়া ওরফে মো. রাসেল আহমেদ (২২) ও মো. নুরুল আলম। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, দুটি মেমোরি কার্ড, চারটি সিমকার্ড ও সাতটি উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড আ্যওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর রায়পুরা থানা এলাকা মো. হিজবুল্লাহ মিয়া ওরফে মো. রাসেল আহমেদ প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একইদিন তার দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপর সদস্য মো. নুরুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেফতার হিজবুল্লাহ মিয়া টেলিগ্রাম গ্রুপে ‘এই শতাব্দী ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী’ নামে সিকিউরড গ্রুপ খুলে নিজে পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে সে আরও সদস্যদের ওই গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে নিযুক্ত করে। তাদের মধ্যে মো. নুরুল আলম অন্যতম। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইনে জঙ্গিবাদ প্রচার করছিল। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল তারা। ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে চাচ্ছিল। নাশকতার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিতে সিকিউরড গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে চ্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট কিলিং এর পরিকল্পনা গ্রহণ করছিল বলেও তাদের গ্রুপ চ্যাটিং থেকে পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নরসিংদীর রায়পুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।