নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৌর মেয়র কাদের মির্জার আহ্বানে হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বর থেকে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
[caption id="attachment_36710" align="alignnone" width="735"] কাদের মির্জার ডাকা হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ[/caption]
মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আর কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম সারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্ছি মাসুদ, পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুই জন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। কোম্পানীগঞ্জে র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ‘সকালে কাদের মির্জা ওসি এবং পরিদর্শককে (তদন্ত) থানা থেকে বাহির করে দেয়ার হুমকি দেয়। তারপর থানায় এসে পুলিশের মুখের ওপর অশ্লীল কথাবার্তা বলেন।
‘তিনি (কাদের মির্জা) পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ হট্টগোল সৃষ্টিকারী মির্জার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে।’
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তার অনুসারীদের সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।
উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চার জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ চার জনসহ আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন কাদের মির্জা। পৌর এলাকায় শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় হরতাল। এতে উপজেলামূখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে।