নরসিংদীর রায়পুরায় ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে জমিতে জোর পূর্বক টিনের বেড়া দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাঙ্গু পাঙ্গু নিয়ে দখল করে বেড়া নির্মানের আভিযোগ উঠেছে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিরুদ্ধে।
জানা যায়,সম্প্রতি জমি নিয়ে বিরোদের জের ধরে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দ্বায়ের করে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের মৃত: শুক্কুর মামুদের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম। ওই মামলায় অভিযোক্তদের গত বছর (১৮ এপিল) একই ইউনিয়নের অপর পক্ষ বর্তমান ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইব্রাহিম, আবুল কাশেম, আব্দুল হাসিম, মন্নান মিয়া ও মিজানুর রহমানকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারা মতে নোটিশ জারীর সূত্র: রায়পুরা এম মামলা নং- ২৬৪/২০২১ এ মামলায় ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৫ ধারায় ওই জমিতে (২৫ ফেব্রুয়ারী) নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশটি প্রধান করে রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শাহীন মিয়া।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের ১৪৫ ধারার নোটিশকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম নোটিশ কৃত জমির উপর টিনের বেড়া স্থাপন করে। ওই সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে এলে মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আমাদের আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এ জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। শুক্রবার দুপুরে বর্তমান মেম্বার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে এ জমিতে টিনের বেড়া স্থাপন করে তার সহযোগীরা। এসময় অপর পক্ষ বাধা দিতে এলে মেম্বারের লোকজন ও সিরাজুলের লোকজনের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এতে সিরাজুল ইসলাম সহ তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন আহত হয় কিন্তু এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়ে সিরাজুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
এব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার ইসমাইল হোসেন রাজিব বলেন, রোগীর দু’হাতে ধারালো অস্ত্রের ধারা ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন সহ মাথা ফোলা রয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইব্রাহিম বলেন, ওই জমিতে টিনের বেড়া ৫দিন আগে স্থাপন করা হয়েছে। তারা অহেতুক আমাকে মামলায় জড়িয়েছে। আমি ঝামেলার সময় ছিলাম না। ঝামেলার খবর শুনে আমি সেখানে পুলিশ নিয়ে আসি।
রায়পুরা থানার এসআই শাহীন জানান, আমি সেখানে ১৪৫ ধারা জারি করতে গিয়েছি। এ বিষয়ে দু’পক্ষই আমাকে কল দিয়েছিলো। আমি আরো আগেই সেখানে ১৪৫ ধারা জারি করতে যেতাম, থানায় কাজ থাকায় আমার যেতে বিলম্ব হয়েছে।