২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রতি ৪ জনের একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এই সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। ৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবসকে সামনে রেখে ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটে শ্রবণ বিষয়ক প্রথম প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২ মার্চ) প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ ২ দশমিক ৫ বিলিয়নের মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন মানুষের অবস্থা এমন গুরুতর পর্যায়ে যেতে পারে যে তাদের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন হতে পারে। শ্রবণ সমস্যার ব্যাপারে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে তা ভুক্তভোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত, ভালো থাকা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হবে।
এছাড়া বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ৫ জনের একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। বলা হয় শ্রবণ সমস্যা সৃষ্টির অনেক কারণ প্রতিরোধ সম্ভব।
প্রতিবেদনে শ্রবণক্ষমতা হ্রাস প্রতিরোধ ও সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শ্রবণ সমস্যা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেন, শ্রবণ সমস্যা মোকাবিলায় সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণে প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে।