নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলে জোবারের হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২২ মার্চ)বিকালে চেঙ্গাতলী বাজার সংলগ্ন নজরপুর ও আলীপুরা সেতুর পাশে নজরপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও নিহত জোবায়েরের পরিবারের লোকজন এ মানববন্ধনে অংশ নেন। নজরপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির প্রবাসী আব্দুল ছাত্তার মিয়ার বড় ছেলে তরুণ-মেধাবী জোবায়ের মিয়াকে আলীপুর গ্রামের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ও নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এতে আলীপুরা গ্রামের সুলতানের ছেলে সিরাজ ও বিরাজ উদ্দিন,আমির হোসেন এর ছেলে ইসমাইল,রহিমের ছেলে নাছির,ওয়ার আলীর ছেলে শাহজাহান ওরফে বড় মাথা,বাবুল,করিম,কাওসার,মুক্তার সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা জোবায়ের হত্যায় জড়িত ছিলো তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান মানববন্ধনের বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার একই ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। এসময় পাশেই ডিমের লটারী খেলায় সাকিব নামে নয় বছরের এক শিশুকে মারধর করে আলীপুরার কতিপয় যুবক। এ খবর শুনে তারই আপন বড় ভাই মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তার উপর চড়াও হয় আলিপুরা গ্রামের লোকজন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে আলীপুরা গ্রামের পাশে চেঙ্গাতলি বাজার সংলগ্ন সেতুতে বসে থাকা জোবায়ের তার চাচাতো ভাই মামুনকে বাচাঁতে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। এক পর্যায়ে তাকেসহ মারধর করলে ঘটনাটি দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এসময় প্রতিপক্ষের অজ্ঞাত ব্যক্তির ছোরা টেঁটা এসে জোবায়েরের গলায় বিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় জোবায়েরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে ওয়া হয়। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার বিকালে জোবায়ের মারা যায়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার বিকাল ৫টায় নিহত জোবায়েরের নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, জোবায়ের হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে আলিপুরা গ্রাম থেকে ওয়ার আলীর ছেলে শাহজাহান ওরফে বড় মাথা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার কর হয়। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।