কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় রয়েছে নরসিংদী। এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে নরসিংদী জেলা প্রশাসন তৎপর থাকলেও শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সদর হাসপাতালেই মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সরেজমিনে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। লকডাউন চলাকালেও হাসপাতালটির বহির্বিভাগে রোগীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি।
এছাড়া করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হাসপাতালটির জরুরী বিভাগের প্রবেশ পথে ইলেক্ট্রিক ডিসইনফেকশন স্প্রে টানেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে না। হাসপাতালটিতে কিছু রোগীকে মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও অধিকাংশরাই মাস্ক না পরে ঘুরাফেরা করছে। এ হাসপাতালে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকলেও কেউই তা ব্যবহার করছে না। বিভিন্ন চেম্বারের সামনে দেখা গেছে গাদাগাদি করে রোগিরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
হাসপাতালে প্রবেশ পথে হাত ধুঁয়েছেন কি না – এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক রোগি জানান, “আমরা গরীব মানুষ, সাবান কিনার টেহা নাই। হাসপাতালের সামনে হাত ধোঁয়ার জায়গা থাকলেও এইখানে সাবান নাই। তাই ধুঁইতে পারিনাই”।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নূরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ জেলায় করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা। সকল হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের সবধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দেয়া আছে।
তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আইসোলেশনে থাকতে ছুটিতে ছিলেন তিনি। কর্মস্থলে ফিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন তিনি। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতাল তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং হাসপাতালে প্রবেশ পথে যে স্প্রে মেশিনটি বসানো আছে তা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের দেয়া ছিলো। হাসপাতালটিতে সবার মুখে মাস্ক ও হাতধোঁয়া বাধ্যতামূলক করা সহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উদাসীনতায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা।
📝 খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন-