শেষ শুক্রবারে বইপ্রেমীদের পদচারণায় জমে উঠে, উৎসবমুখর হয়ে উঠে বইমেলা। বিগত বছরগুলোর সেই চিত্র এবারের মেলার শেষ শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) ২৩তম দিনে লক্ষ্য করা যায়নি। গত কয়েক দিনের তুলনায় লোকসমাগম কিছুটা বাড়লেও বেশিরভাগই ব্যস্ত ছিলেন ঘোরাঘুরি আর সেলফি তোলায়। ফলে বই বিক্রিও হয়নি।
তবে এর মধ্যেও আশার আলো দেখছেন কয়েকজন প্রকাশক। শেষ দিন পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।
‘শেষ শুক্রবারে মেলা জমে উঠবে এবং আশাতীত বিকিকিনিতে সফলতার পথে ধাবিত হবে’ প্রকাশকদের এমন প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেনি। শেষ শুক্রবারে অমর একুশে বইমেলা তার নিজ রূপে ফিরে যেতে পারেনি। এদিনও ছিল না স্টল ও প্যাভিলিয়নে বইপ্রেমীদের ছোটাছুটি। বিক্রি খুব একটা ছিল না বলে অলস সময় কাটিয়েছেন প্রকাশনা সংস্থায় কর্মরতরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৫ লাখ বর্গফুটের বিস্তৃত পরিসরের প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থেকেই বেজে আসছিল হতাশার করুণ সুর।
ছুটির দিন বলে মেলা শুরু হয়েছিল বেলা ১২টায়, শেষ হয় লকডাউনকালে নির্ধারিত বিকেল পাঁচটায়।
অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, ‘রাস্তায়ই মানুষ নেই, মেলায় কিভাবে আসবেন? শেষ শুক্রবারের মেলা নিয়ে যে প্রত্যাশা করেছিলাম, সেটি পূরণ হয়নি। শুক্রবারে বেশি ভিড় থাকে বলে আরেকদিন নিরিবিলি পরিবেশে এসে বই কিনবেন, এমন চিন্তা থেকেও অনেকে হয়তো মেলায় আসেননি। দুই/একদিনের মধ্যে ভিড় বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করছি। শেষ দিন পর্যন্ত কি হয়, দেখতে চাই।’
মা সেরা প্রকাশনীর কর্ণধার দেওয়ান মাসুদা সুলতানা বলেন, ‘অনেক আশা করে মেলায় স্টল দিয়েছিলাম। এখনতো মনে হচ্ছে এতদিন যা খরচ করেছি, সেই টাকাও তুলতে পারবো না। এবারের অভিজ্ঞতা আমার অনেক কাজে লাগবে।’
অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী কাজী শান্তা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর শেষ শুক্রবারে যে পরিমাণ লোক আসেন এবং বিক্রি হয়, এবারের শেষ শুক্রবারে তার দশভাগের একভাগও আসেননি। দর্শনার্থী আর বইপ্রেমীরাই যদি না আসেন, তাহলে বিক্রি হবে কিভাবে? আমরা এখনও পাঠকদের অপেক্ষায় আছি।’