৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনের লকডাউনে করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় এবার ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আজ অথবা আগামীকাল সোমবকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এরইমধ্যে জানা গেল, সর্বাত্মক লকডাউনের সঙ্গে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের ‘সাধারণ ছুটি’র ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তুতি শুরু করেছে।
রবিবার (১১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসছে। আপাতত এক সপ্তাহের হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে এটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা আছে।
সর্বাত্মক লকডাউন ও সাধারণ ছুটিকালীন গণপরিবহন বন্ধসহ আর কী কী বিধিনিষেধ থাকবে, সেটি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। পরিপত্রে এসব বিষয় স্পষ্ট করা হবে বলেও ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সরকারি সূত্র বলছে, গেল বছর করোনাকালে যেভাবে সাধারণ ছুটি চলেছিল এবারও সেভাবেই চলবে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গেল বছর ২৩ মার্চ প্রথমবার ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন ‘ছুটি’ ঘোষণা করা হলেও পরে দফায় দফায় সেই মেয়াদ মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেসময় সব অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ছুটির মধ্যে সবকিছু বন্ধ থাকায় সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়। গেল বছর টানা ৬৬ দিন চলে সেই সাধারণ ছুটি।
কিন্তু টানা সাধারণ ছুটির কারণে নিম্নবিত্তের জীবন-জীবিকা ও দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা অস্তিত্ব সংকটে পড়লে বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে সরকার ৩১ মে’র পর থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। বছরের শেষে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া আর সবকিছুতেই কড়াকড়ি উঠে যায়।
চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে এলেও মার্চ মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে আবারও বাড়তে থাকে। মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। আর এপ্রিলের গত ১০ দিনে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।