করোনার ‘নতুন ধরণ ও মিউটেশন’ দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (২১ এপ্রিল) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দেশ। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। করোনার নতুন ধরন ও মিউটেশনের কারণে এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো অক্সিজেন সিলিন্ডার। সারা দেশে ২০/২৫ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার ছড়িয়ে আছে।’
রোবেদ আমিন বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন করে যোগ হয়েছে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। সেখানে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৮ জনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পর্যায়ক্রমে আরও দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই শুধু এই হাসপাতালে যাবেন। আর যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে কোথাও চিকিৎসাধীন, তারা এখানে এসে ভিড় করবেন না।’
ডা. রোবেদা বলেন, ‘করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই বয়স্ক। আমরা প্রতিদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে পাচ্ছি, ষাটোর্ধ্বরাই বেশি মারা যাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের রোগীই বেশি।’
তিনি বলেন, ‘তবে করোনার নতুন যে ধরণ এসেছে তাতে তরুণরাও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। সুতরাং জটিল রোগে আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয়, এটা দেখার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দিতে হবে।’
আগামী দুই সপ্তাহ মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।