শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (এসএমই) মেধাস্বত্বকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এসএমই খাতকে অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ ও টেকসই করতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত ‘Protection of IP Rights in Bangladesh with special reference to SMEs’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষকদের মেধাস্বত্ব আইনের ওপর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি আইন অনুষদে মেধাস্বত্ব আইন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে মেধাস্বত্বের ওপর নানা ধরনের গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আইন অনুষদ একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার সেন্টারের মাধ্যমে আবিষ্কারক ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সেতুবন্ধ রূপে কাজ করে এর বাণিজ্যকীকরণসহ ফ্রাঞ্চায়, জিং, লাইসেন্সিং, রয়্যালটি নিশ্চিতকরণ, মূল্য নির্ধারণ ও শুরুর জন্য তহবিল গঠনে সাহায্য করতে পারে। মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় সম্ভব সব ধরনের নীতি-সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে হলে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে হবে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবনে এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশি বেশি সভা-সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে হবে। একটি দেশের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ যত শক্তিশালী হবে, সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ তত বেশি হবে।