নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. ফায়েজ উদ্দিন (৩৮) নামের একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শনিবার (১৫ মে) দুপুরে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের আরও ১০ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। নিহত ফায়েজ উদ্দিন পেশায় নৌকার মাঝি ছিলেন। তিনি রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের জরুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরার চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম মিয়া এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হযরত আলীর সর্মথকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। ঈদের পর এসব বিরোধ নিরসনে দুই পক্ষের লোকজনের একসঙ্গে বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে শনিবার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের এসব বিষয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে দুপুরে টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। এ সময় টেঁটাবিদ্ধ হন হযরত আলীর সর্মথক ফায়েজ উদ্দিন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংর্ঘষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নরসিংদী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রায়পুরার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ফারুক জানান, দুপুরের দিকে ফায়েজ উদ্দিন নামের টেঁটাবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। এই ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুরা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।