ঈদের কেনাকাটা নিয়ে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে নরসিংদীতে মায়ের হাতে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে সাদিয়া আক্তার তানহা (২) নামে এক শিশুকন্যা। নরসিংদী পৌর শহরের বানিয়াছল মহল্লায় মুখ ও গলা চেপে শ্বাসরােধে শিশুটিকে হত্যা করে মা কোহিনুর বেগম (২৪)। এ ঘটনায় গত ১৭ মে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন স্বামী সােহাগ মিয়া। মামলার পরপর আসামি কোহিনুর বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। সেখানে কোহিনুর বেগম হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ মে , ২০২১ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় আসামী কোহিনুর বেগম (২৪) , স্বামী – মােঃ সােহাগ , সাং – গইচখালী, থানা – নান্দাইল, জেলা – ময়মনসিংহ , বর্তমান ঠিকানাঃ সাং – বানিয়াছল (রানী বেগম স্বামী – মৃত মােস্তফা এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা ও জেলা – নরসিংদী তার স্বামীর সাথে ঈদের কেনাকাটার বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বানিয়াছল সাকিনে স্বামীর ভাড়া বাসায় শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার তানহা (২)কে মুখ ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরােধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ নিয়ে আসামী কোহিনুর বেগম তার পিতা – আব্দুর রউফ ওরফে রব্বানী এর বাড়ী রায়পুরা থানাধীন দড়ি হাইরমারা নিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ১৭ মে ২০২১ তারিখ নিহত সাদিয়া আক্তার তানহা এর পিতা মােঃ সােহাগ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে নরসিংদী মডেল থানার মামলা নং -১৫ , তারিখ -১৭ / ০৫ / ২০২১ খ্রিঃ , ধারা ৩০২ পেনাল কোর্ট রুজু হয়। মামলা রুজুর পর অভিযান পরিচালনা করে মাত্র ০১ ঘণ্টার মধ্যে আসামী কোহিনুর বেগম – কে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে । দ্রুততম সময়ের মধ্যে ময়না তদন্ত রিপাের্ট সংগ্রহ পূর্বক অতি দ্রুত মামলা তদন্ত সমাপ্ত করে মামলা রুজুর মাত্র ৩ দিনের মধ্যে নরসিংদী মডেল থানার অভিযােগপত্র নং -২১৮ , তারিখ ২০/০৫/২০২১ খ্রিঃ ধারা -৩০২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়।