কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে নরসিংদীর শিবপুরে বসেছিল পশুর হাট। (৩ জুলাই) উপজেলার পুটিয়া বাজারে এ হাট বসে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকেই পুটিয়া বাজারে কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ সময় অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না। কারও কারও মাস্ক থাকলেও হয় পকেটে না হয় থুতনিতে ঝোলানো ছিল। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা না নেমে ঝুঁকি নিয়ে চলেছে পশু কেনাবেচা।
নোয়াদীয়া গ্রামের গরু বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। গরু না বিক্রি করতে পারলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গরু বিক্রি করতে এসেছি।
এ বিষয়ে বাজারের ইজারাদার কাদির সরকার বলেন, এই বছর প্রায় ৪ কোটি টাকায় এ পশুর হাটের ইজারা নেওয়া হয়েছে। যেখানে গত বছর ইজারা ছিল ১ কোটি টাকা। যদি হাট না বসাতে পারি তাহলে সব টাকা জলে চলে যাবে। তাই ইজারার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই এই হাট বসানো হয়েছে। যারা হাটে এসেছে তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করা হয়েছে। যারা এসব মানছেন না তাঁদের হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
পুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার হাসান উল সানি এলিছ জানান, বাজারে অল্পসংখ্যক গরু ছাগল উঠেছিল। হাটে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। আশপাশে ছোট ছোট দোকানপাট বসার চেষ্টা করলেও তাঁদের বসতে দেওয়া হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, এটি নরসিংদী জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। তাই দুপুরের পরে হঠাৎ করেই মানুষের ঢল নামলে বিকেল ৫টার মধ্যে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী হাটের দিন যদি লকডাউন থাকে তাহলে প্রয়োজনে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানান, বিগত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এই হাট বসেছে। জেলা প্রশাসক এ সম্পর্কে কোনো লিখিত কাগজ পাননি। আদেশ জারির পরও যারা পশুর হাট বসিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা ইউএনও মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, আমরা এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।