নরসিংদীতে শৌখিন খামারির বাড়িতে পালোয়ান ও শেরখানকে দেখতে ভিড় করছে মানুষ। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর গ্রামে আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন ৩২ মণ ওজনের পালোয়ান ও ২৮ মণ ওজনের শেরখান নামে দুটি গৃহপালিত পশু। ওই গ্রামের আওলাদ হোসেন ওলিদ নামে এক শৌখিন খামারি পশু দুটি পালন করেছেন।
জানা যায়, বছর দুয়েক আগে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া হাট থেকে পশু দুটি ক্রয় করেছিলেন খামারি আওলাদ হোসেন ওলিদ। লালন-পালনের সময় ভালোবেসে নাম রাখেন পালোয়ান ও শেরখান। এবার কঠোর লকডাউনে ঈদুল আযহায় পশু কেনা-বেচার হাট গুলো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বাড়ির খামারে রেখেই পশু দুটো বিক্রির জন্য প্রস্তাব করছেন আওলাদ হোসেন।
খামারির স্বজনরা জানান, নজরপুর টেকের সবুজ ঘাস খাইয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন- পালন করা হয়েছে পালোয়ান ও শেরখানকে। পশু দুটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এছাড়া করোনায় গরুহাট বন্ধ থাকায় বাড়িতে এসে দাম-দর ও করছে অনেকে।
খামারি আওলাদ হোসেন ওলিদ জানান, শিবপুরের পুটিয়া হাট থেকে কবুতর আনতে গিয়ে সখের বসে দুইটি গরু কিনে আনা হয়। টানা দুই বছর প্রাকৃতিক ও দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়। আজ গরু দুটোর সিমিত মূল্য ধারণ করা হয়েছে পালোয়ানের দাম ১৩ লাখ ও শেরখানের দাম ১২ লাখ টাকা। এ মূল্যে যদি কোন ক্রেতার পছন্দ হয় তাহলে বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করে খামারি ওলিদ। তবে কঠোর লকাডাউনে বিধি-নিষেধের আওতায় রয়েছে গরুর হাট গুলো এতে বিক্রি নিয়েও সংঙ্কায় রয়েছে তিনি।
নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান খান বলেছেন, নরসিংদী জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা মেঠানোর জন্য জেলার প্রশিক্ষিত খামারিদের পশু গুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও জানান, সদর উপজেলার নজরপুরের আওলাদ হোসেন ওলিদ একজন প্রশিক্ষিত খামারি। ওলিদ এবার প্রথম বারের মত পালোয়ান ও শেরখান নামে দুটি গৃহপালিত পশু লালন-পালন করে বিক্রির জন্য উপযোগি করে তুলেছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়াই বেড়ে উঠছে পশুদুটো। সার্বক্ষণিক এ পশু দুটোর স্বাস্থ্যের বিষয় খোঁজ খবর নিচ্ছে জেলা ভেটেরিনারি সার্জন।
#