ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাস নতুন এক অধ্যায় যোগ করল ইংল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংলিশরা। ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে ডেনমার্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ইংলিশরা ফাইনাল খেলবে ইতালির বিপক্ষে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় ইংল্যান্ড। আর শেষ পর্যন্ত টিকিট কাটে প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে। ডেনমার্কের স্বপ্ন যাত্রা থামিয়ে ৫৫ বছর পর মেজর কোনো ট্রফির ফাইনালে পা রেখেছে ইংলিশরা। ১৯৬৬ সালে সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিলো তারা।
বুধবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ফ্রি-কিক থেকে মিক্কেল ড্যামসগার্ডের দুর্দান্ত গোলে খেলার ৩০ মিনিটে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। তবে পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড সমতায় ফেরে ড্যানিশদের আত্মীঘাতী গোলে। ৩৯ মিনিটে সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতায় ফেরে।
ইউরোয় এর আগে আর কোনও ড্যানিশ ফুটবলার আত্মঘাতী গোল করেননি। চলতি ইউরোয় এই নিয়ে মোট ১১টি আত্মঘাতী গোল হল। আগের সবকয়টি ইউরো মিলিয়ে মোট ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।
বিরতির পর দু’দলই সমান তালে খেলতে থাকে। ইংল্যান্ড বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও জালের দেখা পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন কেইন।
আসরের চতুর্থ গোলের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকারের ১০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তার স্পট কিক রুখে দিয়েছিলেন ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসমার শ্মাইকেল। কিন্তু ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।