করোনা ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণের মধ্যেও ঈদুল আজহার বিবেচনায় নিয়ে কঠোর লকডাউন কিছুটা শিথিল করার কথা ভাবছে সরকার। তবে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। সেই সঙ্গে আহ্বান থাকছে, মানুষ যেন ছোটাছুটি না করে নিজ নিজ অবস্থানে ঈদ উদযাপন করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা এবং পশুর হাটের বড় বাণিজ্য এসব বিবেচনায় রেখে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার পরিকল্পনা চলছে। তবে কীভাবে এটা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
শিথিল লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে কি-না সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সোম বা মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনে পরিষ্কার করা হবে।
এদিকে আগমী ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে। তবে ঈদ এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে কিছুটা শৈথিল্য থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রবিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সোমবার রাতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ১৪ দিনের সুফল আমাদের ধরে রাখতে হবে। তবে, যে পরিমাণ রোগী বাড়ছে তাতে বিধি-নিষেধ এ মুহূর্তে তুলে নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আগামী দুইদিনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে। ঈদ এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে কিছুটা শিথিলতা থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।