1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

লকডাউনে পোশাক কারখানার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত ?

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ৫০৮ পাঠক

আগামী ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। এরপর আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ের কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড- ১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঈদের পর ‘কঠোর’ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।

সোমবার (১৯ জুলাই) বেলা চারটা পর্যন্ত পোশাক কারখানার বিষয়ে সরকার নতুন করে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। ফলে অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিচ্ছেন মালিকেরা।

ঈদের পর দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধের সময় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা চালু রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন মালিকেরা। নেতাদের বার্তা পেয়ে পোশাক কারখানার মালিকেরা ঈদের ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে কৌশলী হয়েছেন। অধিকাংশ কারখানার মালিক ঈদের সাধারণ ছুটি দিয়েছেন চার থেকে সাত দিন।

তবে ছুটির নোটিশে তারা উল্লেখ করছেন, ঈদের ছুটির পর করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে কারখানা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ীই কারখানা চালু করা হবে।

সর্বশেষ ১ জুলাই থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু থাকে। তবে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। এরপর আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ের কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিজিএমইএর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন বৃহস্পতিবার পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলটি কারখানা খোলার রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয়।

এরপর পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নেতারা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, শনিবার সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে। কিন্তু সরকার শনিবার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তখন নেতারা বলেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস সোমবারের (আজ) মধ্যে সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু আজ বিকেল পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতির বার্তাটি হল, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ থাকবে। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট থেকে শিল্পকারখানা পরিচালনার প্রস্ততি রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এ–সংক্রান্ত করণীয় পরবর্তী নির্দেশনার মাধ্যমে জানানো হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম জানান, ‘আমরা করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট কারখানা পুনরায় চালু করার আশা করছি। যদিও সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। ফলে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সদস্যদের কারখানা বন্ধ রাখতে বলেছি।’

কারখানায় ঈদের ছুটি কীভাবে দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, তার কারখানা ২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সাত দিন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে সরকারি ছুটি তিন দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। বাকি তিন দিনের ছুটি শ্রমিকদের অর্জিত ও ঐচ্ছিক ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তবে ২৭ জুলাই বিধিনিষেধ থাকায় সরকার পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে। সরকার নির্দেশনা দিলেই কারখানা খোলা হবে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD