ঈদযাত্রায় ভোগান্তির মুখে পড়া ঘরমুখো যাত্রীদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে দুঃখ প্রকাশ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক মহাসড়কে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ, বৃষ্টি এবং ধীরগতির কোরবানীর পশুবাহি গাড়ীর কারণে ঢাকা- গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের কিছু জায়গায় ভোগান্তি হয়েছে ও হচ্ছে আবার কোথাও কোথাও থেমে থেমে গাড়ি চলছে। লকডাউনসহ বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে এবারের ঈদে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি এবং কাভার্ডভ্যানসহ চলাচল করছে। তাই যানবাহনের চাপ বেশি।’

তিনি বলেন, ‘আজ ঈদের আগের দিন হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে পারে, এ অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএ’র প্রতি নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেইসঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে শর্ত মেনে যানবাহন চালোনার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

করোনা নিয়ে সতর্কতা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের উচ্চমাত্রার এমন পরিস্থিতিতে অসতর্ক হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমতাবস্থায় ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে রূপ নিতে না পারে। সেজন্য শপিং মল, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন, ফেরিঘাট, পশুর হাটসহ জনসমাগমস্থলে শতভাগ মাস্ক পরিধান ও ভিড় এড়িয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের এ আনন্দ ভ্রমণ যেন কান্নায় রূপ না নেয়, সেজন্য নিজেকে সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রাখতে হবে এবং নিজে ও অন্যকে সতর্ক রাখতে হবে। সকল ‘অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করে’ দেশে একের পর এক ভ্যাকসিনের চালান আসছে, বাড়ছে সরবরাহ। গণটিকাদানের বয়সসীমা কমিয়ে এর আওতা বাড়ানো হয়েছে।’

পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন আসার সাথে সাথে বয়য়সীমা আরেও কমিয়ে আনবে শেখ হাসিনা সরকার বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। সংকট ও দুর্যোগে তাঁর দূরদর্শিতা ইতোমধ্যেই পরীক্ষিত।’

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করায় বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুরু থেকে বিএনপি নেতারা নানান অপপ্রচার চালালেও শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনা সংকট দেখলে জনমানুষের কল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়েন, গ্রহণ করেন চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে কথামালার ভাণ্ডার নিয়ে বিএনপি নেতারা সংকট দেখলে পালানোর পথ খুঁজেন এবং জনগণ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।’