‘একবার একটা শুটিং ইউনিট ঢাকার বাইরে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকার জন্য আটকে গিয়েছিল। তারা ঢাকায় ফিরতে পারছিল না। তখন পরীমণি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ওই ইউনিটকে ঢাকা ফিরিয়ে এনেছিল। এরকম বহু ঘটনা সে ঘটিয়েছে।’
গণমাধ্যমের কাছে কথাগুলো বললেন খ্যাতিমান নির্মাতা ও পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। কারাগারে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমণির পক্ষ নিয়ে তিনি বেশ কিছু কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তার ফিরে আসার প্রত্যাশাও জানিয়েছেন তিনি।
অভিভাবক না থাকার কারণে পরীমণি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলে মনে করেন সোহান। তার ভাষ্য, ‘একমাত্র নানা ছাড়া পরীমণির আর কোনো অভিভাবক নেই। এ কারণে মেয়েটা আনব্যালেন্সড হয়ে গিয়েছিল। অথচ পরীমণি মানুষের বিপদে-আপদে কিন্তু হেল্প করে।’
মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর তিন দফায় পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর শনিবার (২১ আগস্ট) তাকে হাজির করা হয় আদালতে। পরীর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও সেটা নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বিপরীতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীমণির জামিন না দেওয়ার বিষয়টিকে ‘বাড়াবাড়ি’ মনে করেন নির্মাতা সোহান। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মেয়ে হলে তাকে নিয়ে এত কিছু হতো না। পরীমণি যেহেতু শিল্পী, ভালো শিল্পী, সে কারণেই তাকে নিয়ে একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে শিল্পী কিন্তু তৈরি হয় না, শিল্পী গড গিফটেড। ফলে তাকে একেবারেই আমরা ফেলে দেব তা নয়। তার অপরাধ প্রমাণ হবে কিনা এখনও বলতে পারি না। প্রমাণিত হলে তখন আমরা বুঝব আমাদের কী বলা উচিত। এখন যেটা বলবো-পরীমণির বিষয়ে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। এটি আরেকটু শোভনীয় হতে পারত।’
ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে পরীমণির সুযোগ পাওয়া উচিৎ বলেও মনে করেন সোহান। তার ভাষ্য, ‘সে তো আমাদের শিল্পী। পরী হয়তো অপরাধ করছে, তাকে বুঝিয়ে শোধরানোর সুযোগ দেয়া উচিত। শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতি-আমরা সবাই তার পাশে দাঁড়াব। আজ যা হচ্ছে জনগণ সব ভুলে যাবে। নতুন করে পরীমণিকে খুঁজে পাবে তারা। কেননা পরীমনি জাত শিল্পী। ওর মতো শিল্পীর দরকার আছে।’
এর আগে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমনও পরীমণির সমর্থনে কথা বলেছেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পরীর জন্য পরিচালকদের দরজা খোলা থাকবে।