নরসিংদীতে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে কলেজ ফি’র নামে ৯,৬০০ টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরাবর এমন অভিযোগ করেছেন মো: মাজহারুল পারভেজ নামের একজন অভিভাবক। তিনি নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মাজহারুল পারভেজ এর মেয়ে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৪ মাসের বেতন পরিশোধ করেছেন ওই অভিভাবক। তারপরও গত ২৪ আগস্ট আরও ৯,৬০০ টাকা চেয়ে এসএমএস করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন মাজহারুল পারভেজ। এসময় অধ্যক্ষ জবাব দেন “সকল শিক্ষার্থী দিয়েছে, আপনি দিবেন না কেন? উক্ত টাকা পরিশোধ না করলে ফরম ফিলাপ করতে পারবো না। ”
অভিযোগকারী অভিভাবক মো: মাজহারুল পারভেজ বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ৪৭০/উ:মা:৯১ (অংশ-১)/৮৩৯ নং স্মারকে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে ১ জুলাই ২০১৯ থেকে ৩০ জুন ২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত ২৪ মাসের বেশি বেতন আদায় করা যাবে না এবং নির্ধারিত বোর্ড ফি ৮০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ৩৬০ টাকা আদায় যোগ্য। এর অতিরিক্ত কোনো টাকা আদায় না করার জন্যই এ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তারপরও নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ফি’র নামে অতিরিক্ত ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে আদায় করছেন। এই কলেজ থেকে মোট ১ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১’র জন্য ফরম ফিলাপ করেছে। এ হিসেবে এই কলেজ কর্তৃপক্ষ সর্বমোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বেআইনিভাবে আদায় করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান রুমি বলেন, ফরম ফিলাপ বাবদ বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে না। কলেজের অন্যান্য ফি বকেয়া থাকলে সেটা সংযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগকারী মাজহারুল পারভেজের সন্তান আমাদের শিক্ষার্থী। তার ফর্ম ফিলাপ ছাড়াও বেতন বকেয়া রয়েছে, যদিও তিনি দাবি করছেন বেতনের টাকা পরিশোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম মিত্র বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করেছি । তারা কীভাবে কতো টাকা নিচ্ছেন বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
খবর: নরসিংদী টাইমস