শিশুর খাবারে অনীহার ক্ষেত্রে চিকিত্সকরা কিন্তু মায়েদেরই দোষ দিয়ে থাকেন। ৮০ দশকের নাম করা এক শিশু বিশেষজ্ঞও এমন অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, এই মায়েরা বুঝতে চান না যে, শিশুর পাকস্থলী আর তার পাকস্থলী এক সমান নয়। শিশুর শরীরের চাহিদা যতটুকু, ততটুকুই সে খাবে। তাছাড়া এক বার খাওয়ার পর সেটি হজম হতেও তো সময় দিতে হবে।
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মায়ের শালদুধ হবে নবজাতকের প্রথম খাবার। জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শালদুধ (গাঢ় এবং হলদেটে) দিতে পারলে শিশু মৃত্যুর হার ৩৭ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া শিশু যদি খেতেই না চায়, তাহলে কি করবেন সে বিষয়ে কিছু নিময় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
১. খাবারের স্বাদ: শিশুর পছন্দসই খাবার রান্না করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট কোনো খাবার জোর করে খাওয়াতে চাইলে বাচ্চার খাবার প্রতি অনিহা তৈরি হয়। তাই প্রতিদিন নতুন ভাবে রান্না করুন।
২. রুটিন মেনে চলুন: বয়সভেদে শিশুর খিদে পাওয়ার সময়েরও পার্থক্য হয়। আপনার শিশুকে নিয়ম বা সময়সূচি মেনে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। কি খাওয়াচ্ছেন, তার চেয়ে বড় কথা হলো কখন খাওয়াচ্ছেন!
৩. খাবারে বিরতি: সাধারণত ২-৩ বছরের বাচ্চাদের ২-৩ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়ানো উচিত। এরকমভাবে ৩-৪ বছর বয়স হলে ৩-৪ ঘণ্টার বিরতি দেবেন।
৪. অযথা জোর নয়: শিশুকে কখনো জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। একবার জোর করে খাওয়ালে পরে যখনই খাওয়াতে চাইবেন শিশু ভয় পাবে। খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে।
৫. বাইরের খাবার: বাইরের খাবার যে একেবারেই দেবেন না, তা নয়। যখন বড়দের সাথে বাইরে যাবে তখন বাইরের খাবার খাবে। তবে শুধু শিশুর জেদ রাখতে আলাদা করে প্রতিদিন শিশুর জন্য বাইরের খাবার ঘরে আনবেন না।
৬. খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল: শিশুদের খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইলে কার্টুন দেখালে সে এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এমনিতেই বেশি সময় টিভি দেখা শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এতে শিশুর বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।