নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী মোর্শেদের সরকারী মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেছে প্রতারক চক্র। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সত্যতা নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী মোর্শেদ। তিনি জানান, তাঁর সরকারী মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে একটি প্রতারক চক্র রোববার দিনভর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে চাঁদা দাবি করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোন করে সতর্ক করে দেন তিনি। এছাড়া মুঠোফোন নাম্বার ক্লোন হওয়ার বিষয়টি সবাইকে জানান দিতে সদর উপজেলার ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাসও দেওয়া হয়েছে। যাচাই করে দেখা গেছে মুঠোফোন নাম্বারের আগে বাংলাদেশের কোড আসার কথা +৮৮ কিন্তু ক্লোনকৃত নাম্বারটির আগে ছিল +৬৮৮।
তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কখনোই এভাবে অর্থ গ্রহণ করা হয় না। ওই প্রতারক চক্র ক্লোনকৃত নাম্বার থেকে কারও সঙ্গে অসাধু অভিপ্রায় নিয়ে যোগাযোগ করলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে বলেও জানান ইউএনও মো. মেহেদী মোর্শেদ।
সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বাদল সরকার জানান, রোববার সকালে ইউএনও এর সরকারী মুঠোফোন নাম্বার থেকে তাকে কল করে বলা হয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাঁর নামে একটা বরাদ্দ আসবে। একটা নাম্বার পাঠাচ্ছি, ওই নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন তাহলে ডিসি স্যার খুশি হবেন। অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর অপরিচিত মনে হওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে বলেন, এমপি মহোদয়ের একটা কল এসেছে, আপনাকে একটু পরে কল দিচ্ছি। এরপরই তিনি সদরের ইউএনওকে কল দিয়ে ঘটনা জানালে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সওগাতুল আলম সাংবাদিকদের জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী মোর্শেদের সরকারী মুঠোফোন নম্বর ক্লোন হওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক চক্র শনাক্ত করা হবে। এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।