জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর সেজ বোন আমেনা বেগম এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধানকবি শামসুর রাহমানের ভাই নরসিংদীর প্রথম ব্যারিস্টার তোফায়েলুর রাহমানের সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার তৌফিকুর রাহমান।
প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের মাধ্যমে দেশবাসীকে ব্যারিস্টার তৌফিকুর রাহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ বরাবরই সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার অর্জন করায় দেশে আনন্দের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল সহযোগি সংগঠন ও দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আনন্দ উদযাপন করছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকট মোকাবিলায় সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ, দূরদর্শী নেতৃত্ব-এর কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় তিন দশক ধরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় মোকাবিলা করেছেন নানা চড়াই-উতরাই। রাজনৈতিক কারণে কখনো কারাভোগ করেছেন, আবার কখনো গৃহবন্দী থেকেছেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ হাসিনা। ওই বছর দলের সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। ঐ বছর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় এবং ২০১৮-এর নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বার সরকার গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬-০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
..
– এসকেএস/১-২৭৯২১