মাননীয়,
নরসিংদী- ১ আসনের এমপি মহোদয়। আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার মধ্য থেকেও পরম করুণাময়ের কৃপায় ভালই আছেন। আমার কামনাও তাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নয়ন কর্মসূচির অবারিত স্রোতধারা বয়ে চলেছে বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। আমরাও তাঁর এই উন্নয়নের স্রোতধারায় সিক্ত। এই বছরের প্রথম দিকে আপনার নিকট একটি আবেদন এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি সদরের বথুয়াদী ঈদগা ও গোরস্থান থেকে বেরি বাদ পর্যন্ত রাস্তা অনুমোদন দিয়েছেন। খুবই সুখের ও আশার কথা এই যে, সম্মানিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহোদয় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও করেছেন। আমরা আশা করি এমনি করে ক্ষেপণাস্ত্রের গতিতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হোক। কিন্তু,দিন শেষে যখন আমরা দেখতে পাই যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া গৃহায়ন প্রকল্প গুলোতে গৃহহীনরা গৃহে প্রবেশের আগেই ঘরগুলো ভেঙে পড়ে,ফাটল দেখা দেয়, তখন ঘর বাঁধতে আসা আশা বাদী লোক গুলো আর ওই ফাটল দেখা দেয়া ঘরে প্রবেশ করতে চায়না। যেমনটি চায়না উত্তাল সাগরে ছোট্ট নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দিতে। আমাদের সেই স্বপ্নের রাস্তাটি তারই নামান্তর । যেখানে বর্ষার পানি হয় কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ফুট উঁচু, সেখানে রাস্তা করেছেন মাত্র ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু। খাটিয়ায় করে একটি মরদেহ (লাশ) বহন করতে ৬ থেকে ৮ ফুট চওড়া রাস্তা দরকার হয়, সেখানে রাস্তা বানিয়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট চওড়া। ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু রাস্তা বর্ষার পানির দরকার হয় নাই,বৃষ্টির পানিতেই মিশে গেছে প্রায় ৮০ শতাংশ রাস্তা। বাকি ২০ শতাংশ রাস্তাটুকু ও হয়তো আগামী চার মাসে অর্থাৎ চলতি বৎসর (২০২১) শেষ না হলেও রাস্তা শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ রাস্তার অস্তিত্ব খুঁজে পেতে হলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কে দূরবীক্ষণ নিয়ে খুঁজতে হবে। আপনার নিকট এলাকাবাসীর জোর দাবি এইযে, রাস্তাটির প্রাক্কলিত ব্যয় ও প্রকল্পের নির্ধারিত মাপ অনুযায়ী কাজটি কতটুকু সম্পন্ন হলো, তা নির্ধারণ ও ত্রুটি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও আগামীতে পুনঃসংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
আমার এই ক্ষুদ্র লেখায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
ধন্যবাদ।
ইতি,
মোঃ মুর্শিদ আলম
মালয়েশিয়া প্রবাসী
সাং বথুয়াদী, থানা- মাধবদী
জেলা- নরসিংদী।