নরসিংদীতে রায়পুরা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। রায়পুরা ও নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর মাঝে ৪২ দোকান ও মালামাল রাখার গুদাম আগুনে ভুস্মীভূত হয়ে গেছে।
আগুনে ভুস্মীভূত হয়ে যাওয়া দোকান গুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি মুরগীর দোকান, একটি পাইকারি মুদি দোকান, হোমিও প্যাথিক ফার্মেসি, লেপ-তোষক দোকান ও ৩৭টি মালামালের গুদাম।
এ অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীদের প্রায় দশ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তবে আগুনের সূত্রপাত সর্ম্পকে জানাতে পারেননি কেউ।
একজন পান বিক্রেতা জানান, দুপুরে হঠাৎ আগুন দেখতে পান। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পরে আশপাশের মালামাল রাখার গুদাম ও দোকানে। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দোকানসহ গুদামের মালামাল কেউ সরাতে পারেননি। এ সময় আগুন লাগার আশঙ্কায় অনেক দোকানি তাদের মালামাল সরিয়ে নেয় বলে জানান তিনি।
স্বপন পাল জানান, বাজারে সবচেয়ে বড় পাইকারি মুদি দোকানটি ছিল তার। আগুনে দোকানের মালামাল ও নগদ অর্থ মিলিয়ে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করতে আসেন, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা, সহকারি কমিশনার (ভূমি), সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) ও পিআইও।
নরসিংদী জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে একটি লেপ-তোষকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে কিনা তা জানতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন জানান, রাস্তায় যানজট থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়। আগুনে সব মিলিয়ে ৪২টি দোকান ও মালামালের গুদাম পুড়ে যায়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের করা কথা জানান তিনি।