“আকাশের বুকে আলোর মেলায়;
মন ছুঁয়ে যায় সোনালী স্মৃতিতে,
মনের ক্যানভাসে একে যাই তোকে;
নাইবা এলি আমার বেলকনিতে!”
কিংবা
“কোথায় পালাবে? কোথায় লুকাবে?
যাবে কোথায়? কতদূর?
আমার স্মৃতিকণার মিছিল রইবো
যাবে তুমি যতদূর!”
কিংবা
…
“কথা না বলা মানে
সবচেয়ে বেশি বলা,
নীরব কথোপকথন চলে
সারাদিন সারাবেলা!”
উপরের জনপ্রিয় পংক্তিমালাগুলি রোমান্টিক কবি এ কে সরকার শাওনের। প্রথমটি আমার বেলকনিতে” কবিতার, দ্বিতীয়টি “কথা-কাব্য” কবিতার, তৃতীয়টি ‘নীরব কথোপকথন” কবিতার। এ রকম অনেক রোমান্টিক জনপ্রিয় কবিতা তিনি লিখেছেন। যা দেশে বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আসছে। এছাড়া তিনি জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র নরসিংদী প্রতিদিনে সাহিত্য বিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন।
কবি এ কে সরকার শাওনের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুরে। পিতা মো: আবদুল গনি সরকার একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা মিসেস সালেহা গনি সরকার ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “কথা-কাব্য” (২০১৯)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি যথাক্রমে
“নিরব কথপোকথন” (২০২০) ও “আপন-ছায়া” (২০২১) তিনটি কাব্যগ্রন্থই রকমারী ডট কমে পাওয়া যাচ্ছে ।
A K Sorkar Shaon Books – এ কে সরকার শাওন এর বই | Rokomari.com
এ কে সরকার শাওন এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন রকমারি ডট কম থেকে। এ কে সরকার শাওন এর বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের…
তাঁর কবিতা অতি কাল্পনিক। কবিতা নিয়ে তিনি নিজেই বলেছেনে, “আমার কবিতার চরিত্রাবলী কাল্পনিক এবং একান্তই নিজস্ব। জীবিত, মৃত ও অর্ধ-মৃত কারো সাথে কোন মিল নেই।” তাঁর কবিতার অন্যতম চরিত্র “সজনী সেন”। সে কি অশরীরী নাকি রক্ত-মাংসের কোন মানবী? এ নিয়ে রহস্যের কোন সুরাহা তিনি আজ ও করেননি। তাঁর ভাষায় “হৃদয়েশ্বরী” কবিতায় তিনি লিখেছেন,
“কেউ বলে নাটোরে
কেউ বলে চিরির বন্দরে
আসলে সেই মহা-মানবী
আছে শুধু আমার অন্তরে”
তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলি হচ্ছে, চশমা, তুমি আমার সজনী সেন, নারী তুমি অনন্যা, পরে কথা হবে, দাগ রয়েই যায়, আপন-ছায়া, ধন্যি মেয়ে, কাশ্মীরী শাল, পশীহারা, বাবার ছবি, আমি নইকো একেলা, কাঁঠাল, উদাসীন পথিকের মনের ব্যাথা, অপ্সরী, একাদশীর চান, নীল টিপ, বিরাগ-বচন, বিক্ষুব্ধ উর্মিমালা ইত্যাদি।
কবির শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি ঝালকাঠির উদ্ধোধন হাই স্কুলে। ছেলে বেলায় অসুস্থতার কারনে ১৯৭৫ সালে সরাসরি ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন । ১৯৮০ সালের জুনে উদ্ধোধন হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে থাকাকালে বাবার বদলীজনিত কারনে নিজ গ্রাম গোপালপুরে চলে যান। ১৯৮৩ সালে নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৮৫ সালে নবীনগর সরকারী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ১৯৯১ সালে বিমান বাহিনীর এ্যারোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং ইনসটিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণিতে এসোসিয়েট ইন্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ১০ বছর ঐ ইনসটিটিউটের প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্য স্নাতক, ২০০৭ সালে এজাম্পশন বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে স্নাতক লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
আগামী ২০২২ সালের বইমেলায় আসবে কাব্যগ্রন্থ আলো-ছায়া। অন্যান্য অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি যেমন বাঁশীওয়ালা, আপন-আভাস, প্রলয়-প্রলাপ, প্রণয়-প্রলাপ, প্রান্তিক-প্রান্তরে, চেয়ার ও চোর, বাঁকা চাঁদের হাসি (শিশুদের জন্য) ও Songs of Insane প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি ও তার সহধর্মীনি শিক্ষাবিদ নাজমা আশেকীন শাওন এম. এ. এম-এড তিন কণ্যা (তৃষা, তৃণা ও তূর্ণা) সন্তানের জনক-জননী। সন্তানেরা দেশ-বিদেশের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন রত! সরকারী চাকুরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বর্তমানে বসবাস করছেন বাংলাদেশের রাজধানীর উত্তরখানের নিজ বাসভবন কবিকুঞ্জ শাওনাজে ভবনে।