ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু (১৯) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বাবু তার নানা আব্দুর রশিদকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাবু নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তার ও একই এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. মো. রাশেদ হোসাইনের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া।
তিনি বলেন, প্রায়ই রাতে নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার দাদা আব্দুর রশিদের সঙ্গে ঘুমাতো। বাবু কোনো কাজ করতো না। সে সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতো। ঘটনার রাতে আব্দুর রশিদের কাছে টাকা দাবি করে নাতি বাবু। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আব্দুর রশিদ বাবুকে লাঠি দিয়ে একটি আঘাত করে। এই ক্ষোভেই মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ঘুমের মাঝে নানা আব্দুর রশিদের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ আব্দুর রশিদের। পরে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে মরদেহ চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় বাবু।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে মুক্তাগাছা শহরের ইশ্বরগ্রামের মাঝিপাড়া এলাকার তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ে আব্দুর রশিদের গলিত লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ওই দিন রাতেই নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার (১৬ অক্টোবর) মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহত আব্দুর রশিদ পৌর শহরের নন্দীবাড়ি মাঝিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কাঠের ব্যবসা করতে