ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন সুযোগ পেলেই দাম বাড়াবেন না। এটা আমাদের জন্য খুবই অসম্মানের। আমরা ব্যবসা করবো, তবে দুই একজন লোকের কারণে আমরা সবার গালি শুনতে চাই না। রোববার (১৭ অক্টোবর) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার শুল্ক কমানোর ঘোষণা করলো, সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে গেল। এখানে সমস্যা ছিল। তা না হলে একদিনে কিভাবে এত দাম কমলো। এভাবে চলবে না- এটা ম্যাসেজ। আমরা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাই। যদি কোনো সমস্যা থাকে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করবো।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি। কিন্তু বাস্তবে আমরা ভিন্ন চিত্র দেখছি। তাই বিবিএসের তথ্য সঠিক কি না এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে পাইকার ও আড়ৎদাররা জানান, ভারতে অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে। তাহলে শুল্ক কমানোর ঘোষণার একদিনের মধ্যে হঠাৎ কেন দাম কমলো এফবিসিসিআই সভাপতির এমন প্রশ্নের কোনো যুক্তি সংগত কোনো উত্তর দিতে পারেননি পাইকাররা।
পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রে দেখা যায় কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের তুলনায় কাঁচাবাজারগুলোতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখা হয়। এ বিষয়ে গুলশান কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী বলেন, দোকান ভাড়া বেশি, বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট ১৭ থেকে ১৮ টাকা দিতে হয়। ট্রেড লাইসেন্সের খরচ ৫০০ টাকা থেকে এখন ৩০০০ টাকা দিতে হয়। দোকানের চেয়ে এখন রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে বেশি বেচাকেনা হয়।