আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে একটা জেলে পাড়ায় আগুন দিয়েছে, মন্দিরে হামলা করেছে। এরকম নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে যাচ্ছে, ফেসবুকে অপপ্রচার করছে। সেই অপপ্রচার থেকে গতকালের রংপুরের ঘটনা। কাজেই আমাদের সবাকে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা কাল রাত থেকেই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সেখানের এডমিনিস্ট্রেশন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পার্টি পর্যায়েও সর্তক থাকতে হবে। সর্তক পাহারায় থাকতে হবে। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পরাজিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে একটা কথা মনে রাখতে হবে, ৭৫ সালের পর থেকে এদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্র, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে ধারা শুরু হয়েছে সে ধারা উত্তরাধিকার এখনও বয়ে চলছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, বিএনপি।
তিনি বলেন, হত্যা-ষড়যন্ত্র, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য বাংলাদেশে বহু কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্রের ধারা বিকাশে ব্যহত হচ্ছে। গত ১২ বছরে কোনো পূজা পার্বণে, দুজর্গাপূজার হাজার হাজার মণ্ডপে কোথাও কোনও সামান্যতম ঘটনা ঘটেনি। এই দিনে আমাদের শপথ হোক, বাংলাদেশে অর্জন, উন্নয়ন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষ যে ডালপালা বিস্তারিত করছে, এই বিষবৃক্ষের ডালপালা আজকে উপরে ফেলতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন আজ, ৫৭ তম জন্মবার্ষিকী। একটা বিষয় বারবার বলি, আজও বলছি, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে এত নৃশংসতম ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে, আমি বলব সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট। যে হত্যাকাণ্ডের টার্গেট হয়েছিল অবোলা নারী। রাসেলের মত অবুঝ শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী। পৃথিবীতে কোনও হত্যাকাণ্ডে জুলিয়াস সিজার থেকে শুরু করে, কোনো হত্যাকাণ্ডে অবুঝ শিশু টার্গেট হয়নি। অথচ ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর এই কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল। যিনি ছিলেন সম্ভাবনা মেধায়, বিনয়ে। যার মধ্যে ছিল ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ছাপ। শেখ রাসেলকে সেদিন জীবন দিতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিছিন্ন ভাবে কেউ যদি বলে থাকেন, আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং আছে, সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।