নরসিংদীতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুইটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। দুইটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ আসামিকে গ্রেপ্তারসহ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও জেলায় গত ১৪ দিনে সংগঠিত ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আরও ১৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের দল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাসের ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা এলাকায় অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। পরবর্তীতে সন্ধান পেয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার রফিক মিয়ার ছেলের করা মামলার প্রেক্ষিতে ইজিবাইক ছিনতাই করে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে ইকবাল মিয়া (২০) এবং মো. বাবু মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ ছাড়া ১১ অক্টোবর সোমবার শিবপুর উপজেলার ঘাগটিয়া এলাকা থেকে রিয়াদ মিয়া (২৬) নামে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করে শিবপুর থানা-পুলিশ।
রিয়াদের ভাইয়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশ উপজেলার নিপা আক্তার (১৯), নরসিংদী সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার দীপু মিয়া (২০), মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের মিজান আহমেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মো. আমিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় আমিনের জিম্মায় থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত ১৪ দিনে নরসিংদী সদর, শিবপুর এবং রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতি এবং ডাকাতি করে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় ১৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর বলেন, নরসিংদী জেলা পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফলে অতি অল্প সময়ে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
এ ছাড়া পুলিশ সুপারের নিয়মিত তদারকির কারণে আমরা ডাকাতি ও দস্যুতা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি। জেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।