নরসিংদীর চরাঞ্চলের আলোকবালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(২৬ অক্টোবর) দুপুরে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। আজ রাত ১০টায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ সংঘর্ষে আহত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬জনে।
পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুইজনই দলীয় মনোনয়ন চান। বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু দলীয় মনোনয়ন পেলেও আসাদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আসাদুল্লাহ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলে তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে দেলোয়ার সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ওই গ্রামের মৃত সুরুজ খানের ছেলে শাহালম মিয়া (৪৫) ও মৃত ফজল মিয়ার ছেলে মো. কাইয়ুম (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের শরীর থেকে গুলি বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিরুল আমিন বলেন, দুপুরের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় কাইয়ুম নামে একজনের বাম কাধ থেকে ও শাহালম নামে অপরজনের বাম হাত থেকে দুটি গুলি বের করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে আরো চার জন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতাল থেকে। এরা হলে ওই ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের, স্বপন মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (৩০), হুমায়ুন মিয়ার ছেলে জামান মিয়া(২০), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৫৬), কায়েছ মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন(২৩)।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে কী না তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি।