প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে সেনা সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নে তার সরকার সব ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ভার্চুয়ালি ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেনাবিহনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ও পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনীর মুজিব রেজিমেন্ট, রওশন আরা রেজিমেন্টসহ কয়েকটি রেজিমেন্টের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে থেকে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।
তা ছাড়া সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্যারেড দেখে মুগ্ধ সরকারপ্রধান।
সেনাসদস্যদের কল্যাণে এবং সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকারের নেওয়া উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ১৩ বছর ধরে যথেষ্ট শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে। আর, বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং এই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।’
দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানান, সশস্ত্র বাহিনীতে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি মানব দুর্যোগ মোকাবিলাসহ নানা আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।’
‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষাসহ জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেওয়া সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে সরকারপ্রধান আশাপ্রকাশ করেন—সব ক্ষেত্রে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে সশস্ত্র বাহিনী।