আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে জনগণের আশা-আকাংখার প্রতিফলন নেই। নেই কোন ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচীও।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল ব্রিফিংকালে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দল কিন্তু বিএনপি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলতে চায়। তাদের আন্দোলন কথা সর্বস্ব এবং ভার্চুয়াল। বিএনপির কর্মসূচীর সাথে জনগণ ও রাজপথের কোন সংযোগ নেই।
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারাই বিএনপির বড় ব্যর্থতা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আছে বলেই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার পাল্লা এখন অনেক ভারী। ক্ষমতার রাজনীতিতে বিএনপিকে মানুষ আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা সর্বত্র নৈরাজ্য দেখতে পায়। তারা দেশের ভালো কিছু দেখতে পায় না। বিএনপি সকালের স্নিগ্ধ আলোয় দেখেন সন্ধ্যার অন্ধকার, তারা এতটাই একচোখা যে – গত একযুগের বেশি সময় সরকারের একটা ভালো কাজও দেখতে পাননি। বিএনপি জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন চতুর্দিকে নাকি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, মানুষ পরিবর্তন চায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির অবস্থাই এখন শ্বাসরুদ্ধকর। একদিকে নির্বাচন ও আন্দোলনের ব্যর্থতা, অপরদিকে কর্মী সমর্থকদের হতাশা,- সবমিলিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হঠকারী রাজনীতি এবং ধর্মান্ধ ও ক্ষমতালোভী নেতৃত্ব বিএনপিকে আজ কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের প্রতিটি খাতে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা। এ অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির অপরাজনীতির পরিবর্তন চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি নিজেদের বদলাতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে মুসলিম লীগের মতো। দেশের মানুষ বিএনপির উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর লালন পালন থেকে পরিবর্তন চায়, পরিবর্তন চায় বিএনপি জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হোক। জনগণ চায় বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বীকৃত ও সাংবিধানিক পথে আসুক।