শৈশব আমার ফিরিয়ে দে মা,
শৈশব এনে দে!
ফেলে আসা অতীত আমায়
ডাকছে আবার যে।
ঊষালগ্নে যাবো আবার
মক্তবের ঐ ঘরে,
সতেজ হবো চুমুকে আমি
খেজুর মিষ্ট রসে।
শৈত্য কালে শরীর আমার
ভাপা পিঠার স্বাদে,
বিদ্যাপীঠের উদ্যানে আবার
খেলবো ফড়িং নাচে।
ব্ল্যাকবোর্ডের ওই সাদা ছকে
আমার স্বপ্ন আঁকে,
সরু লাইলে দৌড়ে আমি
কাকতাড়ুয়া সাজে।
সবুজ হতে হলদে হবে
মাঠের সব ধান পেকে,
কৃষক চাচা যাবে মাঠে
ধান তুলিতে ঘরে।
মাটির সুভাষ চাই গো আমি
কাদামাটির ছলে,
এমন শৈশব ফিরিয়ে দে মা,
শৈশব আমায় ডাকে!
সুপারি গাছের টানা গাড়িতে
চড়বো আমি তবে,
রাত্রি হলে ধরবো বায়না
কাজলা দিদির গল্পে।
বাদল দিনে কাগজ নৌকা
ভাসবে আবার জলে,
কাপড় ছাড়া দৌড়ে আমি
যাবো পুকুর পাড়ে।
বিকাল হলে জননী সব
নকশী কাঁথা বুনে,
শৈশব আমার এনে দে মা,
শৈশব আমার মনে!
কাঠপেন্সিলের ঐ আঁকা গায়ে
আমার ছোট্ট নদী,
জেলে ভাইয়ের ইলিশ ভাজে
আমার মেঠো দিদি।
অপরাহ্নে চোখটি বেধে
খেলবো কানামাছি,
গোল্লাছুটের রাজা ছিলেম
বদন খেলাও জানি,
গোলক,ধাঁধা,ভৌছি খেলে
সাত পদে হবে নিশি।
আদর্শলিপির বর্ণে আমি
ঘুম চোখে রাত জাগি,
দুধপুলির ঐ মিষ্টি সুখে
নোলক পড়া দাদী।
শৈশব আমার সাদা কাগজে
জল রঙের প্রতিচ্ছবি,
শৈশব আমার হৃদস্পন্দনে
ফিরে পাবার প্রতিধ্বনি।।
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান হিমেল