টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচেও লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের ৭৩ রান টপকাতে অজিদের লেগেছে মাত্র ৬ দশমিক ২ ওভার। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৫ ওভারেই ৫৮ রান তোলেন দুজন। এরপর ২০ বলে ৪০ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ফিঞ্চ। ১৪ বলে ১৮ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। চারে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোনো বলই মোকাবেলা করতে পারেননি। ৫ বলে ১৬ রান করে দলকে জিতিয়ে দেন মিচেল মার্শ।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ব্যাটিং করতে নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১০ রানের মাঝে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং শুরু করেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় বলটি কোনোক্রমে ঠেকিয়ে ১ রান নেন নাঈম। তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন লিটন।
সৌম্য ৮ বলে ৫ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে যান। উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানটিও ম্যাক্সওয়েলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। ১০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ধুঁকতে থাকে। এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন নাঈম আর মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দলীয় ৩২ রানে কামিন্সের তালুবন্দি হয়ে হ্যাজেলউডের শিকার হন মোহাম্মদ নাঈম (১৭)।
ডাক মারার মিছিলে যোগ দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তরুণ প্রতিভাবান এই ব্যাটারের পুরো আসরটাই গেল ব্যর্থতায়। ৩৩ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর (১৬) ও শামীম হোসেনের (১৯) কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ৭৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ। মাত্র ১৫ ওভার খেলতে পেরেছে বাংলাদেশে ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ১৯ রানে পাঁচ উইকেট লাভ করেন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ও হ্যাজেলউড দুটি করে উইকেট পান। ম্যাচসেরা হন জাম্পা।
এবারের বিশ্বকাপটা চরম বাজে কেটেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া টাইগাররা হেরেছে ছয়টি ম্যাচে। সুপার টুয়েলভের পাঁচটি ম্যাচের সবকটিই হেরেছে মাহমুদ উল্লাহর দল। প্রথম রাউন্ডেও বাংলাদেশকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে পুঁচকে স্কটল্যান্ড।