কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ চালাচ্ছে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনচারী।
এর আগে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম সিকদারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ জহিরকে প্রথমে কক্সবাজার ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
জহিরুল কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংরোড এলাকার মোহাম্মদ জামাল আহমেদের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঝিলংজা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে ঝিলংজার লিংরোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আরেক সদস্য প্রার্থী লিয়াকতের লোকজন এসে কুদরত উল্লাহর নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় সদস্য প্রার্থী ও তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। তাদের প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোদ্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ চালাচ্ছে।