শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশাল সিলেবাসের পরীক্ষা আর হবে না। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে এই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দেয়ালিকা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন এবং আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বইয়ের চাপ আর নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের আরেকটি উদ্দেশ্যে হচ্ছে শিক্ষা হবে আনন্দময়। সারাক্ষণ পরীক্ষার ভয় আর অনেক অনেক বইয়ের চাপ শুধু যেন না হয়। বিশাল সিলেবাসের পরীক্ষা আর হবে না। সারা বছরে স্কুলে বিভিন্ন কার্যক্রমের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিধন্য শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধর্মান্ধরাই সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ায় ও নারীদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়। যেসব ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখ লাখ মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করেছিল, দুই লাখ মা-বোনকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে ইজ্জত হরণ করেছিল, তারা এখনও সক্রিয়। এরাই এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়, পূজামণ্ডপে আঘাত করে। এরাই এখনও মেয়েদের পড়াশুনা করতে দিতে চায় না, নারীদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়। এদেরকঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা রুখতে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সম্ভাবনাময় আগামী প্রজন্ম। তোমরাই এসব মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে।
শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন─ স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।