নরসিংদীতে ৩ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ১০ মামলার আসামি পলাতক এক তরুণকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর এক হাতে হাতকড়া পড়িয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালাতে নদীতে লাফ দেন ওই তরুণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাঁতরে নদী পার হতে না পেরে সেখানেই ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুরে ইউনিয়নের হাজীপুর সেতু এলাকায় হাড়িদোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ৯টার দিকে হাড়িদোয়া নদী থেকে সুজন দাস (২৭) নামের ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে সুজনের বাড়ি হাজীপুর এলাকায়।
সুজন দাসের বিরুদ্ধে চুরি, অটোরিকশা ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলা চলমান আছে। এছাড়া তিনি তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে সাংবাদিকদের জানান পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, সুজন হাজীপুর এলাকার একটি চানাচুর ফ্যাক্টরিতে অবস্থান করছেন। পরে নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ওই চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ সদস্যদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় সুজন নদীতে লাফ দেন। আশপাশে অবস্থানরত মানুষের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে।
সুজন দাসের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন ও কনস্টেবল মো. মাইনুল। আহত ব্যক্তিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কয়েক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর সুজনের এক হাতে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হাজীপুর সেতু পার হওয়ার সময় সুজন তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে ছুরি বের করে পুলিশ সদস্যদের আঘাত করেন। এক হাতে হাতকড়া নিয়েই সেতু থেকে হাড়িদোয়া নদীতে লাফ দেন। কিন্তু সাঁতরে নদী পার হতে পারেননি।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান সাংবাদিকদের জানান, সাঁতরে নদী পার হওয়ার সময় সুজন দাস হয়তো কোনো কিছুতে আটকে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর লাশ ওই নদী থেকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।