আগামী রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের ‘সিটিং সার্ভিস’ অথবা গেইট লক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, সিটিং সার্ভিসে কোনো নিয়মনীতি নেই। পরিবহনগুলো নিজের মতো করে যাত্রী পরিবহন করে। এতে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। তাই আগামী তিনদিন পর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সিটিং সার্ভিস এবং গেইট লক সার্ভিস থাকবে না।
বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। সিএনজিচালিত বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির বাস সিএনজিচালিত। যা সংখ্যায় মাত্র ১৯৬টি বাস। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১০-১২ বছর আগে রাজধানীর বেশি গাড়িই গ্যাসচালিত ছিল। এখন এসব বাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানো হবে। তখন বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। এই যাত্রীবাহী বাসগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১১টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।