ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগ নতুন প্রজন্মের জন্য স্বর্ণালী সময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক বা শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বে অনুকরণীয়। তিনি ডিজিটালাইজেশনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে তরুণ সমাজকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) অনলাইনে গ্রামীণ ফোন আয়োজিত ‘জিপি এক্সপ্লোরারস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বক্তৃতা করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জিপি এক্সপ্লোরারস কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে একটি অসামান্য কাজ উল্লেখ করে বলেন, ‘গ্রামীণ ফোনের ইন-হাউস স্কিল একাডেসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাওয়া শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের তৈরি করতে পেরেছে তা জীবনের বড় ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এই প্রশিক্ষণ প্রচলিত ধারা থেকে ব্যতিক্রমী ধারায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জিপি এক্সপ্লোরারস প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডারই প্রতিচ্ছবি।’
গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘উদ্ভাবনের ধারা বজায় রাখতে, আমাদের প্রয়োজন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন ও ডিজিটালভাবে দক্ষ উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম। অন্যদিকে, তরুণ চাকরিপ্রার্থীরা এসব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে, এক্সপ্লোরারস সবার জন্যই সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’
জিপি এক্সপ্লোরারস একটি বিশেষ ডিজিটাল স্কিলস অ্যাকাডেমি, যার লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও প্রয়োজনীয় দক্ষতার মধ্যে ব্যবধান দূর করে সফট ও ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে তাদের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপস্কিল ও দক্ষ করে তোলা।
জিপি একপ্লোরারসের এবারের আয়োজনে ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে ৩৫৭ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। ২০ সপ্তাহব্যাপী এ আপস্কিলিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ দক্ষতা, উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং ডিজিটাল দক্ষতার ওপর আলোকপাত করা হয়।
ক্রাউডসোর্সড লার্নিং মডেলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এ প্রোগ্রামে রয়েছে বিশেষায়িত কনটেন্ট, অ্যাসাইনমেন্ট এবং খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত সেশন।