নরসিংদীর বেলাবতে সিগারেটের ধোয়া ছেড়ে বিরক্ত করার প্রতিবাদ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জেরে জামাল হোসেন (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত সোমবার আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বেলাব থানাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার বিন্নাবাইদ এলাকায় কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে।
আহত জামাল হোসেন বেলাবো উপজেলার বিন্নাবাইদ গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ও পোড়াদিয়া কারিগরি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্তরা একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র শাহ আলম (৪৫) এবং তার পুত্র রিফাত হোসেন (১৯)।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জামাল হোসেনের পরিবারের সাথে রিফাতের পরিবারের গ্রাম্য দ্বন্দ্ব চলছিলো। জামাল হোসেন গত ২৩ অক্টোবর বিকেলে বাড়ির পাশে বসেছিলো। এসময় সিগারেট টেনে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জামালের মুখে ধোয়া ছাড়েন রিফাত হোসেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এই জেরে রিফাত এবং তার বাবা শাহ আলম জামালকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় জামালকে বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ অক্টোবর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী জামাল হোসেন বলেন, সিগারেটের ধোয়া বারবার শরীরের ওপর দিচ্ছিলো। অনুরোধ করার পরেও বারবার একই কাজ করতেছিলো। প্রতিবাদ করলে রিফাত ও তার বাবা শাহ আলম দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। এসময় প্রতিহত করতে গিয়ে আমার কনুইয়ের নিচে কেটে যায়।
ভুক্তভোগীর ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার একদিন পরেই মামলা করতে থানায় যাই। এ ঘটনা নিয়ে মামলা করতে নিষেধ করে পুলিশ । মামলা না নিতে চাইলে পরবর্তীতে আমরা কোর্টে মামলার আবেদন করি।
ভুক্তভোগীর আইনজীবি রফিকুল ইসলাম ভূইয়া জাহিদ বলেন, আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর প্রথম মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) তলবের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত সোমবার বেলাবো থানার ওসিকে এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের পক্ষে তার ভাই শফিকুল আলম শফিক বলেন, দুই পক্ষই আমার আত্বীয় স্বজন। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এটা মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেলাবো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। কোর্টে যদি অভিযোগ করে থাকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো ।