বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রাজকুমার রাও -অভিনেত্রী পত্রলেখা পাল বিয়ে করলেন। রাজকুমার হয়ে গেলেন বাংলার জামাই। তাঁর কারণ পত্রলেখা বাংলার মেয়ে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রেম থেকে চণ্ডীগড়ের সুখ বিলাস হোটেলে পরিনয় হয় এই দম্পতির।
সোশ্যাল মাধ্যমে বিয়ের কার্ড প্রকাশ পেয়েছে। আর কী লেখা আছে বিয়ের ভার্চুয়াল কার্ডে?-
তাতেই লেখা ১৫ নভেম্বর তাঁদের বিয়ে। লেখা আছে, “রাও পরিবার ও পাল পরিবার সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পত্রলেখা (অজিত পাল ও পাপড়ি পালের কন্যা)) ও রাজকুমারের (কমলেশ যাদব ও সত্যপ্রকাশ যাদবের পুত্র) বিয়েতে।” সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিয়ের স্থানের উল্লেখ।
কার্ডটি হয়তো শেয়ার করেছেন রাজকুমারের কোনও ভক্ত। সকলকেই ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, “রাজকুমার ও পত্রলেখার বিয়েতে সকলে আমন্ত্রিত (ভার্চুয়ালভাবে)।”
পাপারাৎজ়িদের এড়াতেই নাকি বিয়ের তারিখ নিয়ে আগেভাগে খোলসা করছিল না দুই পরিবার। এ ব্যাপারে পূর্বে একটিও বাক্য খরচ করেননি রাজকুমার-পত্রলেখা। ফলে একবার জানা যাচ্ছিল ১২ নভেম্বর বিয়ে, একবার জানা যাচ্ছিল ১৪ নভেম্বর বিয়ে। বিয়ে যে ১৫ নভেম্বর তা অবশেষে জানালেন রাজকুমার নিজে।
দীপিকা কিংবা অনুষ্কার মতো বিদেশের মাটিতে বিয়ে করেননি রাজকুমার-পত্রলেখা। পত্রলেখার বাড়ি শিলংয়ে। বেশ কয়েক বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর শেষমেশ রাজকুমার-পত্রলেখা ঠিক করেন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন পত্রলেখা। ‘এলএসডি’ ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখা ভেবেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনেও হয়তো সেরকমই একজন মানুষ রাজকুমার। কিন্তু তেমনটা যে একেবারেই নয়, পরে বুঝতে পেরেছিলেন পত্রলেখা।
আর রাজকুমার তাঁকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন? পত্রলেখা জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাঁকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন পত্রলেখা।