নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় তিনজন নিহতের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
এর আগে রোববার বিকালে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, হামলাসহ মোট ৩১টি মামলা রয়েছে।
সাহেব আলী পাঠান জানান, চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। গত ১১ নভেম্বর বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণের দিন যাতে প্রতিপক্ষের লোকজন ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির তার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এই নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়। এই ঘটনায় মূল হোতা রাতুল হাসান জাকিরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওইদিন রাতে তাদের দেয়া তথ্যমতে বাঁশগাড়ি এলাকা থেকে দুটি ওয়ান শ্যুটারগান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি বড় রাম দা উদ্ধার করা হয়।
রাতুল হাসান জাকিরের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট, অস্ত্র ও হত্যাসহ ২২টি ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।