নরসিংদীর মাধবদীতে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজের পর অন্তর মিয়া (১৩) নামে এক কিশোর চালকের মরদেহ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাধবদী শহরে দড়ীপাড়া এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নিয়ে ওই কিশোর চালককে খুন করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার ও ছিনতাই হওয়া একটি অটোরিকশা সহ অন্তর হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আল আমিন (৩৬), বকুল মিয়া (৪৫), অহিদুল ইসলাম (২৫), ছগির মিয়া (৩১) ও সাজ্জাদ (৩২) তাদের গ্রামের বাড়ী বিভিন্ন জেলায়। সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত, চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান। এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ ঘোষ, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার ও মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মুহাম্মদ সৈয়দুজ্জামান, মাধবদী থানা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহিন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে মাধবদীর একটি ওয়াজ মাহফিলে যাবার উদ্দেশ্যে পাঁচ ব্যক্তি চারশত টাকায় ওই কিশোরের অটোরিকশাটি ভাড়া করে। ওয়াজ মাফফিলে পৌঁছানোর আগেই খিলগাঁও গ্রামের পাশের একটি নির্জন স্থানে কিশোর চালককে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এসময় গামছা দিয়ে বেঁধে কিশোরকে ডোবায় ফেলে দিয়ে তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম পিপিএম এর নির্দেশে এ ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার ভোর পর্যন্ত রাজধানী সহ নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও খুনসহ চুরির মামলা রয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রড, গামছা জব্দ করা সহ একটি ছিনতাই হওয়া একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১ ডিসেস্বর জীবীকার তাগিদে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজের পরদিন ২ ডিসেম্বর বিকালে মাধবদীর খিলগাঁও দরগাহ বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে অন্তর মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত অন্তর খিলগাও গ্রামের অটো চালক মো: কামাল হোসেনের ছেলে।